তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙ্গন বিলীন হচ্ছে বেড়িবাঁধ বসতঘর ও ঝুঁকিতে বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন Latest Update News of Bangladesh

রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙ্গন বিলীন হচ্ছে বেড়িবাঁধ বসতঘর ও ঝুঁকিতে বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন

তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙ্গন বিলীন হচ্ছে বেড়িবাঁধ বসতঘর ও ঝুঁকিতে বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন




দশমিনা প্রতিনিধি ॥
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের বন্যা নিয়ন্ত্রন বেড়িবাঁধ. নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে বাড়িঘর, ফসলী জমি। এখন জোয়ারের জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হচ্ছে আমন ক্ষেত। ইতিমধ্যে ইউনিয়নের দুইটি গ্রামের অধিকাংশ এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে পুরো বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ইউনিয়নের বাঁশবাড়ীয়া লঞ্চঘাটের উত্তরে তেঁতুলিয়া নদীর পাড়ে বাঁধ ভেঙ্গে রয়েছে। বাঁধ ধসে যাওয়ায় শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় লোজকজনের চলাচলের রাস্তাও নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এলাকার লোকজন সেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছে। বাঁশবাড়ীয়া মরিয়ম মেমরিয়াল গালর্স হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক এস,এম এনায়েত করিম জানায়, বিধ্বস্ত বাঁধের উত্তরে মরিয়ম মেমরিয়াল গালর্স হাই স্কুল ও আক্রাম খান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং দক্ষিনে ৩৩ নং মধ্য বাঁশবাড়ীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গছানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। শিক্ষার্থীরা আগে বাঁধের উপর দিয়ে যাতায়াত করলেও এখন বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে চলাচল করছে। তবে জোয়ারের সময় শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগে পরতে হচ্ছে। অনেক সময় তাদের বই-খাতাও পানিতে ভিজে যাচ্ছে। এদিকে বিধ্বস্ত বাঁধের পাশের বাসিন্দা মোসাঃ- সেলিনা বেগম (৩০) জানায়, তাদের একসময় সবই ছিল। কিন্তু আজ তিনি নিঃস্ব। তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে তাদের বসত ঘর, ফসলী জমি সবকিছু। পর পর সাতবার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে তিনি। সিডর পরবর্তী সরকারী ভাবে একটি ঘর পেয়েছিল। পাকা এই ঘরটিও বাঁধের বাইরে নির্মাণ করা হলেও তেঁতুলিয়া নদী ভাঙ্গনে বাঁধ বিধ্বস্ত হওয়ার সাথে তাদের সেই ত্রানের ঘরটিও নদী ভেঙ্গে নিয়েছে। এখন পাশে পুরোনো টিন-কাঠ দিয়ে একটি ছোট্ট ঘরে স্বামী সন্তানদের আশ্রয় হয়েছে। তবে সেই আশ্রয়ও এখন চরম ঝুঁকির মুখে। আরেক বাসিন্দা মোসাঃ হালিমা বেগম (৩৫) বলেন, পর পর তিনবার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে তিনি। এখন ভাঙ্গন তার বসত ঘরের খুব কাছে এসে পরেছে। এছাড়াও জোয়ারের সময় তার বসত ঘরও ডুবে যাচ্ছে। চরম আতঙ্কে দিন কাটছে তার। মোঃ ছালাম গাজী (৫৫) ক্ষোভের সাথে বলেন, সাতবার তার বাড়ি তেঁতুলিয়া নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এখন শেষ সম্বলটুকুও বিলীন হওয়ার পথে । নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ভাঙ্গন আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের শুধু সেলিনা বেগমই কিংবা হালিমা বেগম কিংবা ছালাম গাজীই নয় তেঁতুলিয়া নদী ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন। ইতিমধ্যে তেঁতুলিয়া নদী ভাঙ্গনে বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ, বিলীন হচ্ছে ইউনিয়নের দুইটি গ্রাম। বাঁশবাড়িয়া ইউপি সদস্য মোঃ হালিম খান বলেন, ভাঙ্গনে বাড়িঘরের পাশাপাশি ফসলী জমিও বিলীন হচ্ছে। এছাড়াও জোয়ারের পানিতে চাষাবাদ ব্যহত হচ্ছে। বাঁশবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন আকন বলেন, দীঘদিন ধরে তেঁতুলিয়া নদী ভাঙ্গনে ইউনিয়নের আমবাড়ীয়া গ্রাম নিশ্চিন্ন হয়ে গেছে। ঢনঢনীয়া গ্রামের ৭৫ ভাগই নদী গর্ভে চলে গেছে। ভাঙ্গন এলাকার চাষাবাদ ব্যহত হচ্ছে। ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ব্যবস্থা নিলেও টিকসই বাঁধ নির্মাণ হচ্ছে না। বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন এখন ভাঙ্গনের মুখে। কাজেই পুরো ইউনিয়নে ব্লক বাঁধ নির্মান করা না হলে ইউনিয়ন ঝুঁকিতেই থাকবে। কাজেই ব্লক বাঁধ নির্মাণের জন্য পাউবো বরাবরে আবেদন করা হয়েছে। পাউবো, পটুয়াখালী কার্যালয়ের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, আসলে তেঁতুলিয়া নদী ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে বন্যা নিয়ন্ত্রন বেড়িবাঁধ। বিশেষ করে দশমিনার বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া নদীর পাড়ে ৭ দশমিক ৬৬৭ কিলোমিটার বাঁধ ভাঙ্গনের কবলে পরে। পাউবো ইতিমধ্যে সেই স্থানে ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার নতুন বাঁধ নির্মাণ করেছে। বর্ষা মৌসুমের পর বাকি বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও ইউনিয়নটি ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় জলবায়ূ পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় সেচ, বন্যা নিয়ন্ত্রন ও নিস্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পুরো বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের চারিপাশে ৩০ কিলোমিটার নতুন বাঁধ ও পানি নিরস্কাশনের জন্য চারটি জলকপাট নির্মানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ব্যয় ধরা হয়েছে ১১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এই বাঁধ নির্মাণ শেষে বাঁধ মজবুতের জন্য ব্লক বাঁধ নির্মানের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
সংসদ নির্বাচনী ব্যস্ততায় রণকৌশল, নির্বাচনোত্তর রণনীতির বাস্তবায়ন

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD